Description
বইয়ের কথা:
লম্বা আঙুলে ধরা তুলি দিয়ে রং তুলে কাগজে আঁকছেন দক্ষ হাতে। আমি আমার মুগ্ধ চোখ সরাতে পারছি না। শেষে হাতে নিলেন এক সূক্ষ্ম তুলি…। হালকা হাতে ছবিতে আঁকা মুখের উপর আলো ছায়ার সূক্ষ্ম কটি লাইন টেনে চলেছেন। এরপর অবহেলায় ছবিটি হাতে নিয়ে বাটির জলের মধ্যে ডুবিয়ে দিলেন।… এবার দাদামশায় একটি চুরুট ধরিয়ে আমার দিকে মন দিলেন। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করতে লাগলেন আমার ভারতবর্ষে আসার কারণ, আমার দেশের কথা, আমার পরিবারের কথা। সবশেষে অনেকক্ষণ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন, “তোমার বাবা মায়ের কথা ভেবে বড় দুঃখ হচ্ছে, যাঁরা তোমাকে চিরকালের জন্য হারিয়েছেন।” আমার হঠাৎ মনে হল, এটা আমাদের প্রথম দেখা নয়। যেন আমরা অনেকদিনের আপনজন।
লেখক পরিচিতি:
মিলাডা গঙ্গোপাধ্যায়
জন্ম ১৯১৩। মৃত্যু ২০০০। অবনীন্দ্রনাথের প্রিয় দৌহিত্র মোহনলালের পত্নী। অকাল প্রয়াত পিতা-মাতার সন্তান এই দৌহিত্রটি অবনীন্দ্রনাথের স্নেহ-সান্নিধ্যে বড়ো হয়েছিলেন। তাঁর পত্নী মিলাডাও অবনীন্দ্রনাথ অত্যন্ত স্নেহের পাত্রী ছিলেন। অবনীন্দ্রনাথের বেলা-শেষের জীবন দৌহিত্র-বধূর সেবায়, শুশ্রুষায় ভরে উঠেছিল। চেকোস্লোভাকিয়ার কন্যা, ঠাকুরবাড়ির এই বিদেশিনি বধূ ভালোবেসেছিলেন এই দেশকে, বাংলা ভাষাকে। বাংলার পাঁচালী ও ব্রতকথা চেক ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। ছোটোদের কথা ভেবে অজস্র রূপকথা লিখেছেন, অনুবাদ করেছেন। নাগা- সমাজের উপর চেক ও ইংরেজি ভাষায় বই লিখেছেন। ইংরেজিতে লেখা বই দুটির নাম এ পিলগ্রিমেজ টু দ্য নাগাজ’। ও নাগা আর্ট’। এই দেশ, এই দেশের মানুষজন, প্রকৃতি, বিশেষত বধূ হিসেবে ঠাকুরবাড়িতে দিনযাপনের অভিজ্ঞতা নিয়ে চেক ভাষায় একটি বই লিখেছিলেন। সে বইটির নাম অবরাজকী জ বেনগালস্কা।
Reviews
There are no reviews yet.