Description
বইয়ের কথা:
সুখবিলাসবাবু চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী শর্মিলা দেবী অনেকদিন যাবৎ পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী। একমাত্র মেয়ে থাকে বিদেশে। স্থানীয় ‘হঠাৎ আনন্দ’ ক্লাব বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সুখবিলাসবাবুর বাড়ির সামনের। ল্যাম্পপোস্টে মাইকের চোঙা বেঁধে তারস্বরে মাইক বাজায়। অতিষ্ট হয়ে সুখবিলাসবাবু একবার প্রতিবাদ করেছিলেন। এর জনয তাঁকে ফল ভুগতে হয়। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ক্লাবের ছেলেরা একটার পরিবর্তে একাধিক মাইকের চোঙা দুর্গাপুজোর সময়ে না সুখবিলাসবাবুর বাড়ির সামনের ল্যাম্পপোস্টের গায়ে লাগিয়ে দেয়। কোথাও অভিযোগ জানিয়ে কোনও লাভ হয় না। শব্দের অত্যাচারে বিছানায় শুয়ে ছটফট করতে থাকেন শর্মিলা দেবী। সুখবিলাসবাবু অসহায়। এমন সময় হঠাৎই একদিন রাত্রিবেলা বাড়ির সামনের পার্কে সুখবিলাসবাবুর সঙ্গে আলাপ হয় মধুসূদন ভট্টাচার্য নামে রহস্যময় একটি লোকের। তারপর কী ঘটল? কী করে জব্দ হল শব্দাসুর?
লেখক পরিচিতি:
জন্ম ১৯৭৩ সালের ২৬ জানুয়ারি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। বাবা সরোজকুমার বসু। মায়ের নাম অনিমা বসু। স্কুলের পাঠ, বারাসত প্যারীচরণ সরকার রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে। তারপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূতত্ত্বববিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পেশায় সরকারি আধিকারিক। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে যুগ্ম সচিব পদে কর্মরত। নাটক রচনা দিয়ে লেখালেখি শুরু। প্রথম মৌলিক নাটক ‘রিয়েলিটি’ প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে। এই নাটকের জন্য জাতীয় স্তরে একটি একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ নাট্যকারের পুরস্কার পান। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখির সূচনা ২০১৩ সাল থেকে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা থেকে লেখকের অনেকগুলি কিশোর উপন্যাস ও কিশোর গল্প সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। নৈর্ঋত প্রকাশন থেকে বেরিয়েছে কিশোরদের জন্য লেখা ঐতিহাসিক আখ্যান ‘ইঙ্গবণিকের বঙ্গবিজয়’।
Reviews
There are no reviews yet.