Description
বইয়ের কথা:
প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে আধুনিক যুগে মানুষের জয়যাত্রা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বাদ দিয়ে কিছুতেই সম্ভব হতো না। নানা দেশে নানা সময়ে বহু অবজ্ঞা ও নির্যাতন সয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবু মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে তাঁরা বছরের পর বছর ধরে কাজ করে গিয়েছেন। সূর্যকেন্দ্রিক বিশ্ব ও সচল পৃথিবীর কথা বলতে গিয়ে গোঁড়া ধার্মিকদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন টাইকো ব্রাহে, কোপারনিকাস ও গ্যালিলিও। তিনজনের জীবন কথা রয়েছে এই বইয়ে। রয়েছে কম পরিচিত কয়েকজন বিজ্ঞানীর কথা যাঁদের আবিষ্কার ভিন্ন আমরা এগোতে পারতাম না। গ্যালিলিওর ছাত্র টরিসেলি, নেদারল্যান্ডের বিজ্ঞানী ক্রিস্টিয়ান হাইগেনস, বিজ্ঞানী লিউয়েনহুক, কাউন্ট রামফোর্ড, আন্দ্রে অ্যাম্পিয়ারের জীবন ও কাজের কথা রয়েছে। আমেদিও অ্যাভোগাড্রো, জঁ ফুকো, দিমিত্রি মেন্ডালিভ, এনরিকো ফার্সি, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, উইলিয়াম হার্ভে, বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, হেনরি ক্যাভেনডিশ, এডওয়ার্ড জেনার, জন ডালটন, মাদাম কুরি প্রমুখ বিজ্ঞানীর আবিষ্কার কাহিনী রয়েছে। ছোটোরা এই বই পড়লে অনুপ্রাণিত হবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
লেখক পরিচিতি:
জন্ম ১৯৫৭। উদয়পুর রমেশ স্কুল, মহারাজা বীরবিক্রম কলেজ ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেন। বস্তু বিজ্ঞান মন্দিরে গবেষণা। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের রসায়ন বিভাগে অধ্যাপনা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। বাইরের দেশে কিছুকাল উচ্চতর গবেষণা। বর্তমানে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে অধ্যাপনা করেন। বহু জনপ্রিয় বিজ্ঞান গ্রন্থের রচয়িতা। বইয়ের সংখ্যা দেড়শতাধিক। ১৯৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সত্যেন্দ্রনাথ পুরস্কারে সম্মানিত। ‘সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল’ ও ‘কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান’ কর্তৃক দুই ভিন্ন বছরে ‘গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য’ পুরস্কারের সম্মানিত ‘বর্ষসেরা বিজ্ঞান লেখক’ হিসাবে সম্মানিত করেছেন। ২০০৫ সালে ‘জান বিচিত্রা’ পুরস্কার ও ২০০৯ সালে বিজ্ঞান সাহিত্যে ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ লাভ করেছেন। ২০১২ সালে অর্জন করেছেন ‘মুজফফর আহমদ স্মৃতি পুরস্কার। বিজ্ঞান সাহিত্য রচনার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিতে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক ২০১২ সালে জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত। ২০১৪ সালে ‘গণিত প্রতিভা শ্রীনিবাস রামানুজন’ বইয়ের জন্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাসম্পন্ন ‘নরসিংহ দাস পুরস্কার’ পেয়েছেন। লেখক বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ আন্দোলনে দীর্ঘকাল জড়িত।
Reviews
There are no reviews yet.