Description
বইয়ের কথা:
লম্বায় পাঁচ ফুট এগারো ইঞ্চি। তার উপস্থিতি, ব্যক্তিত্ব মনে করিয়ে দেয় প্রখ্যাত অভিনেতা আল- পাচিনোর কথা। বহুদিন ধরে ইন্সমনিয়া অসুখে আক্রান্ত। দিনে ঘুমাত, রাতে কাজ করত। প্রায়ই পাক রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকদের জন্য মুজরা পার্টির আয়োজন করত। এসব পার্টিতে অংশ নিত পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রীরা। দাউদের সঙ্গে দেখা করার জন্য ভিআইপিদের লম্বা লাইন লেগেই থাকত। কারণ একটাই, ডনের সঙ্গে মাত্র একবার সাক্ষাৎ বদলে দিতে পারে যে কারও ভাগ্য! দাউদ ইব্রাহিম আগাগোড়া বানিয়া। প্রতিযোগীদের প্রতি নিষ্ঠুর, কিন্তু অনুগতদের প্রতি দয়ালু। মানুষকে প্রভাবিত করার সব কৌশল তার জানা। আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে, এতো প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও সে পরিণত হয়েছে পাকিস্তানের এবং আইএসআই-এর খুঁটিতে! পাকিস্তানজুড়ে তার প্রচুর সম্পত্তি। দেশান্তরে থাকার পরও, ভারতের আন্ডারওয়ার্ল্ডে দাউদের কথাই নাকি এখনও শেষ কথা। রিয়েল এস্টেট থেকে এয়ারলাইন্স- সব ব্যবসায় এখনও সাঁটা আছে দাউদের অদৃশ্য প্রতীক। দিল্লি আজও দাউদ-সাম্রাজ্যের দর্শকমাত্র!
লেখক পরিচিতি:
মৃণালকান্তি দাস
জন্ম ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬। কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে। শৈশব কটেছে হাবড়ায়। স্কুলজীবন কেটেছে কলকাতার পিকনিক গার্ডেনে। মডার্ন স্কুল পরে হেরম্বচন্দ্র কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক। ছাত্রজীবন থেকে লেখালেখির কাজে যুক্ত। ২০০৪ থেকে সাংবাদিকতার পেশায় কর্মরত। স্বশিক্ষিত চিত্রশিল্পী হিসাবে বহু বইয়ের প্রচ্ছদ নির্মাণ। সহকর্মী, বন্ধুদের প্রভাবে মুক্তচিন্তার পথ উন্মোচিত। নেশা বই পড়া, বইয়ের প্রচ্ছদ-অলঙ্করণ, মেহনতি মানুষের জীবনের গল্প শোনা আর নতুন কোনও জায়গায় হারিয়ে যাওয়া…
Reviews
There are no reviews yet.