Description
বইয়ের কথা:
সিনেমার পর্দায় গুপ্তচরবৃত্তি দেখতে ভালোই লাগে। যেখানে দেখা যায়, অস্ত্রসজ্জিত একজন একাকী যোদ্ধা যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে একটা শক্তিশালী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে, তার ছদ্মাবরণের অংশ হিসেবে কোনও সুন্দরী নারীর সঙ্গে প্রণয়ে লিপ্ত হচ্ছে কিছুক্ষন পর পর। আর সেই যুদ্ধের পরিণতি শুধুই ‘সাফল্য। কিন্তু বাস্তব সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিশ্বে বহু অভ্যুত্থান ঘটেছে, যেখানে একটা অস্ত্রও দেখা যায়নি। বহু অপারেশন হয়েছে, যেখানে কোনও প্রাণহানি হয়নি। আসল প্রশ্নটা হল, একটা শক্তিশালী শত্রুপক্ষের সদস্যদের মধ্যে আপনি কীভাবে ভিন্নমত চারিয়ে দিতে পারবেন? আপনার দেশের সেরা স্বার্থের জন্য আপনি কীভাবে শত্রুতে পরিণত হওয়া এক বন্ধুর সঙ্গে প্রণয়ে লিপ্ত হবেন? দেওয়ালের ওপাশের ঘটনাবলী জানতে আপনার সংস্থার জন্য কীভাবে ডাবল এজেন্ট শনাক্ত ও রিক্রুট করবেন? কীভাবে আপনি একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি বদলে দেবেন এক দেশকে আরেক দেশের বিরুদ্ধে লাগিয়ে? এবং আপনার দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ যখন বিপন্ন, তখন একটা অনুকূল সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে কীভাবে ছায়াযুদ্ধ চালাবেন? আসলে ‘যুদ্ধ হল। জাহান্নাম। গুপ্তচরবৃত্তি এর চেয়েও বেশি জঘন্য। যুদ্ধে আপনি জয়লাভ করতে পারবেন। কিন্তু গুপ্তচরবৃত্তিতে কোনও জন্য নেই। কারণ তা কখনোই শেষ হবে না।’ বলেছিলেন Intel Wars: The Secret History of the Fight against Terror বইয়ের লেখক ম্যাথিউ এইড। ইন্টেলিজেন্সে কাজ করা মানেই চিরস্থায়ী ব্যর্থতাকে সঙ্গী হিসেবে মেনে নেওয়া। এই বই সেই গল্পই খুঁজেছে, যেখানে প্রতিক্ষণে শুধুই অশনি সঙ্কেত…
লেখক পরিচিতি:
মৃণালকান্তি দাস। জন্ম ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬। শৈশব কটেছে হাবড়ায়। স্কুলজীবন কেটেছে কলকাতার পিকনিক গার্ডেনে। মডার্ন স্কুল পরে হেরম্বচন্দ্র কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক। ছাত্রজীবন থেকে লেখালেখির কাজে যুক্ত। ২০০৪ থেকে সাংবাদিকতার পেশায় যুক্ত। বহু ছোট সাময়িকী পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশিত। স্বশিক্ষিত চিত্রশিল্পী হিসাবে বহু বইয়ের প্রচ্ছদ নির্মাণ। সহকর্মী, বন্ধুদের প্রভাবে মুক্তচিন্তার পথ উন্মোচিত। নেশা বই পড়া, বইয়ের প্রচ্ছদ-অলঙ্করণ, মেহনতি মানুষের জীবনের গল্প শোনা আর নতুন কোনও জায়গায় হারিয়ে যাওয়া…
Reviews
There are no reviews yet.